Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
COVID-19 সম্পর্কে স্বাস্থ্য সচেতনতা
বিস্তারিত

করোনা মহামারি প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা অনেকটাই বদলে গেছে। প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণ এড়াতে আমাদের এমন অনেক অভ্যাসই পরিহার করতে হচ্ছে, যেগুলো একসময় আমাদের স্বাভাবিক জীবনেরই অংশ ছিল। গবেষক ও চিকিৎসকরা বলেছেন, করোনা থেকে বাঁচতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কিন্তু এই ‘স্বাস্থ্যবিধি’ বিষয়টা আসলে কী?

নিজেকে সুস্থ রাখতে যেসব নিয়ম কানুন অনুসরণ করতে হয় সেগুলোই স্বাস্থ্যবিধি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, ‘স্বাস্থ্যবিধি বলা হয় সেসব নিয়মাবলি ও অনুশীলনকে যেগুলো সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।’

অনেকে স্বাস্থ্যবিধি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকে এক বলে মনে করেন। কিন্তু দুটোর মধ্যে পার্থক্য আছে। স্বাস্থ্যবিধি একটি ব্যাপক ও বিস্তৃত বিষয়। গোসল করা, হাত ধোয়া, নখ কাটা এগুলো পরিচ্ছন্নতার অংশ। তবে স্বাস্থ্যবিধিতে পরিস্থিতি বুঝে আরও বেশকিছু আরোপিত বিষয় থাকে। আমরা এই লেখায় আলোচনা করবো- করোনাভাইরাস মোকাবিলার স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে। বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যবিধির কথা নিচে উল্লেখ করা হল-

ভাইরাসের সংক্রমণ হার যেমনই হোক, ঘরের বাইরে সবসময় মাস্ক পরে থাকুন। চিকিৎসক ও গবেষকরা বলেছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও আপনাকে মাস্ক পরতে হবে। তাছাড়া মাস্ক পরলে করোনাভাইরাস ছাড়াও অন্যান্য ধুলাবালি ও বিষাক্ত বস্তু নিঃশ্বাসের সঙ্গে আপনার ফুসফুসে যেতে পারবে না।

কিছুক্ষণ পর পর হাত ধুয়ে নিন। হাত ধোয়ার সুযোগ না থাকলে নিজের কাছে স্যানিটাইজার রাখুন। একটু পর স্যানিটাইজারের কয়েক ফোঁটা নিয়ে হাতে ঘষে নিন। হাতে ভাইরাস থাকলেও তখন তা ধ্বংস হয়ে যাবে।

হাঁচি কিংবা কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু, রুমাল বা হাত দিয়ে মুখ ঢেকে নিন। কারণ আপনি যদি ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে থাকেন, তাহলে এই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে, যা অন্যদের আক্রান্ত করতে পারে।


 যেখানেই যার সঙ্গে কথা বলবেন অন্তত ৩ ফুট বা ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখবেন। এটাকে বলা হয় ‘সামাজিক দূরত্ব’। এই দূরত্ব রাখার কারণ হলো অন্যকারও হাঁচি-কাশির ড্রপলেটের সঙ্গে আসা ভাইরাসের জীবাণু যেনো আপনার নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ না করে।

চোখে, মুখে বারবার হাত দেওয়া আমাদের স্বাভাবিক একটি অভ্যাস। তবে করোনাকালে এসে এই অভ্যাস বদলাতে হবে। হাত দিয়ে আমরা অনেককিছুই স্পর্শ করি। সেগুলোতে যদি ভাইরাসের কণা আটকে থাকে এবং তা যদি আমাদের হাতের মাধ্যমে মুখ, নাক কিংবা চোখের মধ্য দিয়ে দেহে প্রবেশ করে তবে আমরা আক্রান্ত হয়ে যাবো। ফলে এ বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন থাকতে হবে।

যেখানে সেখানে স্পর্শ করা যাবে না। আমরা এমন অনেক কিছুই স্পর্শ করি যা অন্যরাও স্পর্শ করেন। যেমন- টাকাপয়সা, সুইচ, লিফটের বোতাম, বাসের হাতল বা সিঁড়ির হাতল ইত্যাদি। এসব বস্তুতে ভাইরাসের জীবাণু থাকতে পারে। ফলে এমন কিছু স্পর্শ করলেও হাত ধুয়ে নিতে হবে বা স্যানিটাইজ করে নিতে হবে।

বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর জামাকাপড় বদলে ফেলতে হবে। কারণ জামা-কাপড়ের মাধ্যমেও আমরা ভাইরাস বহন করে ঘরে নিয়ে আসতে পারি, যা নিজেকে বা পরিবারের অন্যদের সংক্রমিত করতে পারে।

ওমিক্রন নিয়ে সরকারের ১৫ নির্দেশনা

এদিকে, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়েও বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও ভাইরাসটি প্রতিরোধে ১৫টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হল-

 

> সাউথ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, এসওয়াতিনি, লেসোথো এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক সময় সময় ঘোষিত অন্যান্য আক্রান্ত দেশ থেকে আগত যাত্রীদের বন্দরসমূহে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে।

> সব ধরনের (সামাজিক/ রাজনৈতিক/ ধর্মীয়/ অন্যান্য) জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে।

> প্রয়োজনে বাইরে গেলে সবাইকে বাড়ির বাইরে সর্বদা সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পড়াসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।

> রেস্তোরাঁতে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা ধারন ক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম করতে হবে।

> সকল প্রকার জনসমাবেশ, পর্যটন স্থান, বিনোদন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, সিনেমা হল/ থিয়েটার হল ও সামাজিক অনুষ্ঠানে (বিয়ে, বৌভাত, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি) ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম সংখ্যক লোক অংশগ্রহণ করতে পারবে।

> মসজিদসহ সকল উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।

> গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।

> আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।

> সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (সকল মাদ্রাসা, প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।

> সকল স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে সেবা গ্রহীতা, সেবা প্রদানকারী ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সর্বদা সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।

> স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

> করোনা উপসর্গ/ লক্ষণযুক্ত সন্দেহজনক ও নিশ্চিত করোনা রোগীর আইসোলেশন ও করোনা পজিটিভ রোগীর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

> কোভিড-১৯ এর লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা এবং তার নমুনা পরীক্ষার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে সহায়তা করা যেতে পারে।

> অফিসে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন সময়ে বাধ্যতামূলকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা দাপ্তরিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

> কোভিড-১৯ রোগ নিয়ন্ত্রণ ও হ্রাস করার নিমিত্তে কমিউনিটি পর্যায়ে মাস্ক পড়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সচেতনতা তৈরির জন্য মাইকিং ও প্রচারণা চালানো যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে মসজিদ/ মন্দির/ গির্জা/ প্যাগোডার মাইক ব্যবহার করা যেতে পারে এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর/ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।

source ; corona.gov.bd

ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
31/05/2022
আর্কাইভ তারিখ
31/03/2025